ইউটিউবে কিছু চ্যানেল আছে বেশ কিছু দিন ধরে সরকার সরকারি কর্মীদের প্রতি কতটা ভাবে কত উপকার করে। এই চ্যানেল আর কিছু অনলাইনে কাগজ আছে যারা প্রতি নিয়ত এরম খবর প্রকাশ করে চলেছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে এই সরকার কতটা কর্মী দরদী সেটা তুলে ধরতে সাহায্য করছে । যেমন পে কমিশন নিয়ে খবর প্রকাশ করে চলেছে। আবার যে ভাবে সরকার ঘোষণা করেছে বেতন বেড়ে যাবে পার্শ্ব শিক্ষকের। হেড লাইন হলো, শিক্ষকদের বেতন বেড়ে গেল। কখনো সেটা এপ্রিল থেকে আবার কখনো অক্টোবর থেকে কোন এপ্রিল কোন অক্টোবর তার ঠিক থাকে না। তার পর আর খোঁজ থাকে না। সত্যিই বেতন বাড়ল কিনা। এই পে কমিশন নিয়ে প্রতিনিয়ত ভুল খবর করে যাচ্ছে। কারণ সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াতে বা ডি এ দিতে সরকারের টাকা নেই। তখন বামফ্রন্ট দেনা রেখে গেছে, কিন্তু এই সরকার এখনো পর্যন্ত কতো কত টাকা দেনা করেছে । সেটা ঐসব নিউজ চ্যানেলে খবর হয় না। একটা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির টিফিন খরচ কত? টেন্ডারের কত শতাংশ টাকা প্রকৃত কাজে লাগে উন্নয়নে সে সব খবর নেই। সারদার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য শ্যামল সেন কমিটির পাঁচ শো কটি টাকা কোথায় গেল? কজন টাকা ফেরত পেল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অন্য রাজ্যে ঢালাই দেওয়া পাকা বাড়ি হয়। আমাদের রাজ্যের টাকা পেতে জুতোর শুকতলা ছিঁড়ে যায়। যার পাকা বাড়ি আছে তার নামে অনুমোদন করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। এই অর্থ মন্ত্রী ফিকির সংগে ছিলেন। ফিকি কাদের সংগঠন, আমার যতদূর জানা আছে এটা একটা শিল্পপতি দের সংগঠন। ইনি অর্থ নিয়ে সেখানে কী ভেবেছেন বা কী যুক্তি দিয়েছেন অনুমান করুন। আমি জানি না উনি শিল্পপতি হিসেবে ঐ সংগঠনে ছিলেন। তাহলে উনি নিজে শিল্পপতি, হলে এই রাজ্যে বিনিয়োগের বন্যা বয়ে যেত। উনি তাহলে অর্থ নীতিবীদ হয়ে কী যুক্তি দিয়েছেন কীভাবে কর্মীদের বেতন কম দিয়ে কাজ করানো যায়। ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারেন শিল্প পতিরা। তাহলে তাঁর কাছে কর্মীরা কী আশা করতে পারেন। তবে এ রাজ্যের এক জন মন্ত্রী সব তিনি যা বলেন সেটাই হয়। বাকী দের কথা। আর পে কমিশন সে যিনি পে কমিশনার তিনি জানেন না ।কবে রিপোর্ট জমা পরবে। চালু হওয়া তো দূরের কথা। যিনি ছ মাস আগে ডিএ ঘোষণা করেন, তিনি এখন শিল্প কে বিসর্জন দিয়ে, বিসর্জন কে শিল্প করতে ব্যস্ত। এর পর লক্ষ্মী মেলা হতে পারে। তাতে কন্যাশ্রী রা হিন্দি গানের সাথে নাচবে। আর ভাই ভাইপো রা আনন্দ পাবেন।
No comments:
Post a Comment