Friday, 12 October 2018

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত মানুষ কী ভুল ধরিয়ে দিতে জানে না। ভুল বলছে জেনেও চুপচাপ থাকেন কেন?

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া।আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই এমন কোনো কথা বলছেন বা তথ্য দিচ্ছেন যার কোনো  বাস্তব ভিত্তি নেই । এখন দেখি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একই রকম আরম্ভ করেছেনে। এরা সত্যিই কি জানেন না। জেনে শুনে বলছেন যাতে খবরের শিরোনাম থাকতে পারেন। যেসব স্থানে বা সভায় বলছেন সেখানে অনেক শিক্ষিত মানুষ বসে আছেন । তারা কেউ কিছু বলছেন না, হয়তো কেউ কেউ মুচকি হেসে নিচ্ছেন । অন্য কোনো কারণে বলছেন না, উনি কোলকাতার বইমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে বললেন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর নোবেল আনতে গিয়ে কীটস ও সেস্কপিয়রের সাথে দেখা করলেন। প্রথম জন মানে কীটস মারা গেছেন ১৮২১ সালে, আর সেক্সপিয়রের মৃত্যু হয় ১৬১৬ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল প্রাইজ আনতে গিয়ে গিয়ে ছিলেন। ১৯১৩ সালে । জানি না দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল এবং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভদ্র জন ঐ ভাষণ শুনলেন। কেউ কিছু বললেন না। তবে কী উনি বলেছিলেন যে তিনি ওনাদের লেখা নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু চ্যানেল গুলো এবং খবরের কাগজ পত্র যা সংবাদ সেখানে লেখা হলো। উনি বলেছিলেন ঐ দুজন লেখকের সাথে দেখা করে ছিলেন। আবার উনি কোলকাতা বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বলছিলেন রাজা রামমোহন রায় এই বিধানসভায় ঐতিহাসিক সতী দাহ রধ বিল পাশ করে ছিলেন। সেখানেও অনেক ভদ্র শিক্ষিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আবার আরেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষিত ভদ্রলোক দের সামনে বলছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪৭ সালে নোয়াখালীতে সরবত বা ফলের রস খাইয়ে, গান্ধীর অনশন ভঙ্গ করে ছিলেন। অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয় ১৯৪২ সালে। আরেক টি অনুষ্ঠানে বলছেন উনি ওনার কলেজে যখন পড়তেন তখন ছবি বিশ্বাসের মৃতদেহে মালা দিয়ে ছিলেন। ছবি বিশ্বাস গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান ১৯৬২ সালে । আমি যত দূর জানি এবং আমি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও তার সম্পর্কে লেখা পড়ে তথ্য থেকে জানতে পারি। উনি কলেজে পড়তেন ১৯৭৮ সালে । তাহলে ২৬ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা ঘটে ছিল। উনি এই দিন কয়েক আগে একটা অনুষ্ঠানে বা সভায় উপস্থিত হন এবং বলেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোয়াখালীতে গান্ধীর অনশন ভঙ্গ করিয়ে ছিলেন। এই সব বা অনুষ্ঠানে কোনো জ্ঞানী ভদ্র শিক্ষিত মানুষ বসে ছিলেন না। নাকি ঐ সব শুনে তারা খুশি হন। বাঙালি জাতি অপমানিত হলে ঐ সভায় উপস্থিত ভদ্র জনের ভালো লাগে। স্বাধীনতার আগে থেকে আজ পর্যন্ত কংগ্রেসের তা বড়ো নেতা প্রকাশ্যে বা আড়ালে বাঙালি হিন্দু দের দেখতে পারেন না। তা যদি না হতো তাহলে আমাদের তথা ভারতের বীর স্বাধীনতা যুদ্ধের সেনা সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কে ভুল তথ্য দিতেন না। তাঁকে সম্মান দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারতেন। কিন্তু তা তারা করেননি, উল্টে বাংলা ভাগ করে দিয়েছেন, এবং বাঙালি মরছে তাতে মায়াকান্না কেঁদেছেন । সবটাই লোক দেখানো ।সেই জন্যই এই সব সভায় মাননীয়া যা বলেছেন। অনেকেই পিছনে বাঙালি জাতির নোংরা সমালোচনা করেছেন। ভুল বলছেন মনে মনে আনন্দ পাচ্ছেন। না হলে ঐ সভা বা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষিত ভদ্র জনের সাহস নেই, ওনার ভু সংশোধন করে দেবার। ঐ সব ভদ্র মহাজন দের দেখে, আমার কবি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর উলঙ্গ রাজা কবিতার একটা লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। রাজা যখন উলঙ্গ হয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন অনেক লোক দেখছিল কিন্তু কারো সাহস হয়নি রাজাকে বলার, তখন এক সাহসী বালক রাজা কে বলল " রাজা তোর পোশাক কোথায়?"

No comments:

Post a Comment