Saturday, 27 October 2018

স্বাধীনতা ও প্রিয় নেতাজী।

আজকের কলকাতা 24*7 অন লাইন খবর কাগজে বেড়নো ছবি। যে বিষয়ে খবর ছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। আমাদের মহা   সম্মাননীয়    প্রধানমন্ত্রী আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন এবং নেতাজী কে অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করেন। তাই কংগ্রেস গোঁসা করে বলছে প্রধানমন্ত্রী সুভাষচন্দ্র বোস কে নিয়ে রাজনীতি করছেন। বাঙালি ভাবাবেগ কে উস্কে দিতে তিনি এটা করেছেন । তবুও তিনি এটা করেছেন, কিন্তু কংগ্রেস পৃথিবী খ্যাত অহিংস নেতা। যিনি হিংসা না করে ভারতের বুকে মহাপুরুষ সেই মহান ব্যক্তি অনশন করল আর ইংরেজ দেশ ছেড়ে চলে গেলে। সুভাষচন্দ্র বোস সেই মহান ব্যক্তি (গান্ধী) তার মনোনীত প্রার্থী কে হারিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। তিনি বললেন ঐ ব্যক্তির হার আমার হার আমি কংগ্রেসের আর কোনো কিছু তেই নেই। যদি সেই সময়ে নেতাজী পদত্যাগ না করে বলতেন। বেশ হয়েছে ঐ ইংরেজ দের দালাল যাক। তাহলে ভারতের ইতিহাস অন্য রকম লেখা হতো। গান্ধী ও নেহরু মিলে আর দেশ ভাগ করে পাঞ্জাব ও বাংলা কে ভাগ করে শিখ ও বাঙালি হিন্দু জাতির যে সর্বনাশ করেছে। তাতে করে ঐ দুই নেতা তথা কংগ্রেস দলটা চির ঘৃণার পাত্র। দেশ শতধা বিভক্ত ৫৬২ টা রাজ্য বা দেশ এ বলে আমি আলাদা ও বলে আমি পাকিস্তানের সঙ্গে যাব। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আর নেহরু আর গান্ধী কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেই নিয়ে ব্যস্ত।
দুটোতেই ব্রিটিশ কে বলত আমাদের জেলে ভরো না হলে মেরে দেবে। ব্রিটিশ কে বলে বলে জেল ঢুকত।
আজ ভুটান, তিব্বত নেপাল আলাদা দেশ এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে নাটক বাজদের জন্য।আর তখন কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারতে যোগ দেবেন  তৈরি, ঐ  নাটক বাজের জন্য সর্দার জীর পৌঁছতে দেরি তিনি  পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাবেন এমন সময় হাজির হলেন সর্দার জী ব্যাস শুরু হলো গণ্ডগোল সেই সমস্যা এখনো পর্যন্ত মেটেনি। তবে      এটাও ঠিক দেশের স্বাধীনতার জন্য সুভাষ বোসের অবদান আছে ঠিকই, তার থেকে অবদান হিটলারের তিনি যে ভাবে ইংল্যান্ড আক্রমণ করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । তাতে করে ব্রিটিশরা বিভিন্ন দেশ বা উপনিবেশ কে স্বাধীনতা দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়ে ছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়  পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা।   আমার ঠিক জানা নেই এর জন্যে কী সুভাষ চন্দ্র বোস, জাপান যাত্রার আগে হিটলারের সাথে দেখা করে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছিল সেদিন তা আমরা কোন ইতিহাস বই এ পড়িনি।   কারণ স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিক ভাবে লেখা হয়নি। কংগ্রেস কোনো দিন নেতাজী কে সন্মান জানায়নি।. ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলে তাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দেশে যাতে না ঢুকতে পারে তার ব্যবস্থা পাকা করে ছেড়েছে। নেতাজীর অস্তিত্ব কে স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মুছে দিতে সচেষ্ট হয়েছে সচেতন ভাবে। 

No comments:

Post a Comment