Friday, 26 October 2018

আজ গ্রামের কথায় কথায় জলাপাড়া গ্রামের কথা।

ছবি টি তে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রীদের ঔষধ খাওয়াছেন। কী ঔষধ আয়ন এবং ফলিক এসিড। কারণ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা দের সব করতে হয়। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, কি নেই সেই কাজের মধ্যে প্রশাসন যা বলবেন সব পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা।    প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা যদি   বলেন পারব না কিম্বা জানি না তাহলে জুটবে বেতন বন্ধ বা বরখাস্ত করার হুমকি। সেই হুমকি পঞ্চায়েতের ঝাড়ুদার থেকে অফিসের বড়ো বাবু পর্যন্ত দিতে পারেন।
আজ এসব এখানে লিখব না। লিখব জলাপাড়া গ্রামের কথা লিখব ।গ্রাম টি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত ।সিঙ্গুর রেল স্টেশনে নেমে দক্ষিণ দিকে মহামায়া হাই স্কুলের পাশ থেকে টোট অটো ছাড়ছে। ঐ টোটো অটো চেপে প্রথম অপূর্বপুর তারপর পলতাগড় এবং বিরামনগর পার করে আপনি পৌঁছে যাবেন জলাপাড়া গ্রামে। আমি এখানে একটা গ্রামের কথা লিখিনি সেটা বিরামনগর এই গ্রামের বেশির ভাগই চাষি আর বিশেষ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে চুল্লু তৈরি। এ গ্রামের ভালো শিক্ষিত মানুষ যারা চাকরি করতেন তারা সিঙ্গুরে বা সল্টলেকে বাড়ি করে চলে গেছেন। চুল্লু ভালো জিনিস তো তাই, এই বিরামনগরের সাথে দক্ষিণ পূর্ব দিকে পলতাগড় গ্রামের একটি অংশ গৌরীবাটী জুড়ে আছে।
এই বিরামনগর গ্রামের পর জলাপাড়া গ্রামের শুরু অনেকেই বলেন জলাপাড়া বলে কোন গ্রাম নেই ওটা রামনগর গ্রামের অংশ।যা হোক গ্রামের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সিঙ্গুর বড়া রাস্তা এই রাস্তার দু পাশে বসতি। গ্রাম টিতে অনেক শিক্ষিত মানুষ জন বাস করেন। কেউ কেউ ভালো চাকরি করেন বা করতেন। এখান থেকে একটি রথ আসে পলতাগড় শিবতলা পর্যন্ত। রাস পড়া না রাসতলার মাঠ রাস্তার পাশে। এই
গ্রামের মধ্যেই কালী পূজোর সময় দুটো কালী পুজো হয়, খুব ধুমধাম করে।
অপূর্বপুর থেকে রামনগর গ্রামের সরস্বতী নদীর ধার পর্যন্ত এই সিঙ্গুর বড়া রাস্তার পাশে কার্তিক মাসের কালী পুজোর সময় খুব ধুম। প্রচুর কালী পুজো হয় তা ছোট বড়ো সব মিলিয়ে প্রায় একশোর কাছে। অনেক লোক সমাগম হয় এই সময়, মদের দেশ তাই মদের দেবীর পুজো।
মদ বা চুল্লু একবারে যে তৈরি হয় না, সেটা বলা যাবে না। তবে বর্ধিষ্ণু গ্রাম, ইদানিং রাস্তা ঘাট ভালো হয়েছে।
এবার স্কুল টি নিয়ে বলি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি তে ছাত্র ছাত্রী কম গ্রামের লোকের এখন একটু ঝোঁক শহরের বা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াবে । পয়সা খরচ করে লোক দেখাতে হবে না। সেই জন্যই এই সব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কম।


No comments:

Post a Comment